গলদা চিংড়ি একটি অমেরুদন্ডী প্রাণী। এদের দেহ শক্ত কাইটিনের আবরণে ঢাকা, যাকে বহিঃকঙ্কাল বলে। গলদা চিংড়ির দেহ মুলত দুইটি অংশে বিভক্ত। প্রথম অংশ শিরোবক্ষ (Cephalothorax) শির বা মাথা এবং বক্ষাঞ্চল বা Thorax এর সমন্বয়ে গঠিত। দ্বিতীয় অংশ উদারাঞ্চল বা Abdomen । শিরোবক্ষ অঞ্চলটি একটি শক্ত আবরণ বা ক্যারাপেস দ্বারা ঢাকা থাকে।
গলদা চিংড়ির দেহে মোট ১৯টি খন্ড রয়েছে। এর মধ্যে ৫টি খন্ড মস্তক অঞ্চলে, ৮টি বক্ষাঞ্চলে ও ৬টি উদরাঞ্চলে অবস্থিত। ভ্রূণ অবস্থায় এর দেহে ২০টি খন্ড থাকে। এর মধ্যে ১ম খন্ডটি পরবর্তীতে দুদিকে চক্ষুবৃন্ত গঠন করে বিধায় ভ্রূণ পরবর্তী অবস্থায় ১৯টি খন্ড দৃশ্যমান থাকে। গলদা চিংড়ির মাথা ও বুককে এক সঙ্গে শিরোবক্ষ বা সেফালোথোরোক্স বলা হয়।
শিরোবক্ষের পিছনেই উদর অবস্থিত। উদর ক্রমান্বয়ে সরু হয়ে টেলসন বা লেজে শেষ হয়েছে। টেলসনের উভয় পার্শ্বে পুচ্ছ পাখনা বা ইউরোপড (Uropod) অবস্থিত। চিংড়ির বহিরাবরণ কাইটিন নামক খোলস দিয়ে আবৃত যা ক্যালশিয়াম উপাদান দিয়ে গঠিত। এই খোলসগুলো চিংড়ির দেহের প্রতিটি অংশকে ঢেকে রাখে এবং একটি খোলস অপর খোলসের সঙ্গে একটি সন্ধিল পর্দা (Arthrodial membrane) দিয়ে সংযোগ রক্ষা করে। ফলে খোলসগুলো সহজেই প্রয়োজনে সম্প্রসারিত ও সংকুচিত হতে পারে। চিংড়ির খোলসের অনেকগুলো স্তর আছে। একেবারে উপরের স্তরটি শক্ত ও কোষবিহীন। শক্ত স্তরের নিচে একপ্রস্থ কোষ অবস্থিত। কোষের স্তরে রসগ্রন্থি বিদ্যমান। স্কেলেরাইট (Sclerite) দ্বারা চিংড়ির প্রতিটি দেহখন্ড আবৃত থাকে। উদরে প্রধাণত দু'টি স্কেলেরাইট অবস্থিত; পৃষ্টদেশে অবস্থিত ছোট খন্ডটিকে প্লিউরন (Pleuron) বলা হয়।
চিত্র-১.১: গলদা চিংড়ির বাহিক্য গঠন
চিংড়ির শিরোবক্ষ পৃষ্ঠাদেশাবরণ (Dorsal shield) বা শিরোবর্ম দ্বারা ঢাকা থাকে যা ক্যারাপেস (Carapace) নামে পরিচিত। পৃষ্টদেশের আবরণ উভয় পার্শ্ব হতে নিচের দিকে সম্প্রসারিত হয়ে ফুলকার উভয় দিকে একটি আবরণের সৃষ্টি করে। এই আবরণকে ব্রঙ্কিওস্টেগাইট (Branchiostegite) বলা হয়। এই আবরণ চিংড়ির শ্বাসঅঙ্গ বা ফুলকাকে রক্ষা করে। পৃষ্টদেশের আবরণ হতে মধ্যরেখা বরাবর একটি অংশ সামনের দিকে ক্রমশ লম্বা হয়ে পার্শ্ব চাপা ও ঊর্ধ্বমুখী সরু করাতের মতো সম্প্রসারিত হয়েছে যা রোস্টাম (Rostrum) নামে পরিচিত। এই রোস্টাম ক্যারাপেসের সম্মুখভাগে অবস্থিত। উপরের ও নিচের কিনারায় খাঁজ কাটা থাকে।
চিংড়ি রোগ্রামের সাহায্যে শত্রুর হাত থেকে আত্মরক্ষা করে থাকে। রোষ্ট্রামের গোড়ার উভয় পার্শ্বে ছোট দুইটি কণ্টক থাকে। সামনের কণ্টকটিকে অ্যান্টেনাল কণ্টক (Antennal spine) ও পিছনের কণ্টকটিকে যকৃৎ কণ্টক (Hepatic spine) বলা হয়। রোট্রামের গোড়ার উভয়দিকে একটি করে সবৃন্তক পুঞ্জাক্ষি (Stalked compound eye) অবস্থিত। বৃত্তের সাহায্যে চিংড়ি পুঞ্জাক্ষিকে চারিদিকে ঘুরাতে সক্ষম হয়। শিরোবক্ষের অম্লীয়দেশের অগ্রভাগে ছোট মুখ অবস্থিত। মুখের সামনের উপরের অংশকে লেগ্রাম (Labrum) বা উর্ধ্বোষ্ট ও নিচের অংশকে লেবিয়াম (Labium) বা নিম্নোষ্ঠ বলে। চিংড়ির লেজের অঙ্কীয়দেশে পায়ু অবস্থিত। চিংড়ির উপরের পঞ্চম উপাঙ্গের গোড়ার ভেতরের দিকে পুরুষ চিংড়ির জনন রন্ধ্র এবং তৃতীয় উপাঙ্গের ঠিক একই স্থানে স্ত্রী চিংড়ির জনন রন্ধ উন্মুক্ত হয়।
চিত্র-১.২: গলদা চিংড়ির রোট্রাম ও মাথার বিভিন্ন উপাঙ্গ
শির-উপাম্প মোট পাঁচ জোড়া। এগুলো চিংড়ির দেহের ২য় থেকে ৬ষ্ঠ দেহখন্ডাংশে অবস্থান করে।
চিত্র-১.৩: চিংড়ির শিরা-উপাম্প: অ্যান্টিনিউল (Antemule) এবং অ্যান্টেনা (Antenna)
এক. অ্যান্টিনিউল (Antennule)
দুই. অ্যান্টেনা (Antenna)
তিন. ম্যান্ডিবল (Mandible)
চিত্র-১,৪: চিংড়ির শির-উপাল: ম্যান্ডিবল (Mandible), ম্যাক্সিগুলা (Maxihala) এবং ম্যাক্সিলা (Maxilla)
চার. ম্যাক্সিগুনা (Maxilula)
পাঁচ. ম্যাক্সিমা (Maxilla)
বক্ষ-উপাঙ্গ মোট আট জোড়া। এগুলো চিংড়ির দেহের ৭তম থেকে ১৪তম দেহখন্ডাংশে অবস্থান করে।
এক. প্রথম ম্যাক্সিলিপেড (First Maxillipede )
চিত্র-১.৫: চিংড়ির বক্ষ-উপাম্প: প্রথম ম্যাক্সিলিপেড (First maxillipede), দ্বিতীয় ম্যাক্সিলিপেড (Second maxillipode) ও তৃতীয় ম্যাক্সিলেপেড (Third maxillipede)
দুই. দ্বিতীয় ম্যাক্সিলিপেড (Second Maxillipede)
তিন. তৃতীয় ম্যাক্সিলিপেড (Third Maxillipede)
চিংড়ির ৪র্থ, ৫ম, ৬ষ্ঠ, ৭ম এবং ৮ম এই পাঁচ জোড়া বক্ষ উপাঙ্গ হাঁটার উপাঙ্গ বা পেরিওপোড (Pereopod) নামে পরিচিত। এগুলো যথাক্রমে চিংড়ির ১০ম থেকে ১৪তম দেহখণ্ডাংশে অবস্থান করে। হাঁটার উপাঙ্গগুলো সাতটি ধারাবাহিক খণ্ডাংশ নিয়ে গঠিত। যার মধ্যে প্রোটোপোডাইটের অংশ দুইটি যথা- কক্সা ও বেসিস এবং এন্ডোপোডাইটের অংশ পাঁচটি যথা- ইন্ডিয়াম, মেরাস, কারপাস, প্রোপোডাস ও ডাকটাইলাস।
চিত্র-১.৬: চিংড়ির বক্ষ-উপাম্প ১ম ও ২য় হাঁটার উপাঙ্গ (Walking leg or Chelate leg.)
১ম হাঁটার উপাঙ্গ (First walking leg or Chelate leg)
২য় হাঁটার উপাঙ্গ (Second walking leg or chelate leg )
চিত্র-১.৭: চিংড়ির বক্ষ-টেপাম্প: তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম হাঁটার উপাঙ্গ (Third, Fourth and Fifth walking leg or Non-chelate leg)
চিংড়ির ছয় জোড়া উদর-উপাঙ্গকে প্লিওপোড (Pleopod) বা সন্তরণী উপাঙ্গ বলে। এদের প্রত্যেকের প্রোটোপোডাইট কক্সা ও বেসিস নিয়ে গঠিত। বেসিস দুইটি পাওনা শাখা বহন করে যারা এন্ডোপোডাইট ও এক্সোপোডাইট নামে পরিচিত। উদর-উপাদগুলো চিংড়ির ১৫তম থেকে ২০ তম দেহখণ্ডে অবস্থান করে।
এক. প্রথম উদরীয় উপাঙ্গ (First abdominal appendage)
চিত্র-১.৮: চিংড়ির প্রথম ও দ্বিতীয় উদরীয়-উপাঙ্গ
দুই. দ্বিতীয় উদরীয় উপা (Second abdominal appendage)
তিন-পাঁচ. তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম উদরীয় উপাঙ্গ (Third, fourth and fifth abdominal appendage)
চিত্র-১,৯: চিংড়ির উদরীয় উপাঙ্গ- ৩য়, ৪র্থ ও ৫ম (Abdomeinal Appendage)
৬ষ্ঠ উদরীয় উপাঙ্গ: পুচ্ছপদ (Uropod)
চিত্র-১.১০: চিংড়ির ৬ষ্ঠ উদরীয় উপাঙ্গ পুচ্ছপদ (Uropod)
চিংড়ির বিভিন্ন উপাঙ্গের কাজঃ
অঙ্গ | উপাঙ্গ | উপাঙ্গের কাজ |
মাথা | অ্যান্টিনিউন অ্যান্টেনা পুঞ্জাক্ষি রোট্রাম ম্যাজিবল ম্যাক্সিনুলা ম্যাক্সিলা | শ্বাস ও স্পর্শ দেহের ভারসাম্যতা, স্বাদ ও স্পর্শ তীব্র ও খ্রিমিত বা অস্পষ্ট আলোতে দেখতে সহায়তা করে। আত্মরক্ষার কাজে ব্যবহৃত হয়। খাদ্য গ্রহণ, খাদ্য চিবানো ও খাদ্য নড়াচড়ার কাজে সাহায্য করে। |
বুক | প্রথম ম্যাক্সিলিপেড
প্রথম চলন পদ | স্পর্শ, স্বাদ, খাদ্য গ্রহণ, খাদ্য টুকরা করা, মুখ থেকে ৰঞ্জিত খাদ্যাংশ দূরীকরণ ও শ্বাসকার্যে সহায়তা করা।
খাদ্য শুঁকড়িয়ে ধরা এবং জন্মরক্ষা ও ইটার কাজ করে। ফুলকাতে পানি সরবরাহ ও বসন কাজে সহায়তা করে । |
উদর | প্রথম প দ্বিতীয় সন্তরণ পর
তৃতীয় সন্তরণ পদ চতুর্থ সন্তরণ পদ পঞ্চম সন্তরণ পদ | শুক্রানু স্থানান্তরের কাজ করে। সন্তরণ কাজে সহায়তা করে।
পানি সংবহনে সহায়তা করে সন্তরণে কাজ করে ডিম রক্ষার কাজ করে |
পুচ্ছ পদ | সন্তরণ কাজে সহায়তা করে। প্রয়োজনে পিছনের দিকে চলে যেতে সহায়তা করে। |
চিংড়ির অভ্যন্তরীণ অঙ্গসংস্থান প্রধানত: পুষ্টিতন্ত্র, রক্ত সংবহনতন্ত্র, স্নায়ুতন্ত্র, শ্বসনতন্ত্র, রেচনতন্ত্র ও জননতন্ত্র নিয়ে গঠিত।
যেসব অঙ্গ-প্রতঙ্গ চিংড়ির পরিপাক ক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে থাকে তাদের সমষ্টিকে চিংড়ির পরিপাকতন্ত্র বলা হয়। চিংড়ির পরিপাকতন্ত্র সাধারণত পরিপাকনালী ও হেপাটোপ্যানক্রিয়াস নামক পরিপাক গ্রন্থির সমন্বয়ে গঠিত। পরিপাকনালী মুখগহবর থেকে পায়ু পর্যন্ত বিস্তৃত। পরিপাকনালী প্রধানত তিনটি অংশে বিভক্ত। যথা-
ক) অগ্রপরিপাকনালী (Forgut): মুখ, মুখগহ্বর, অন্ননালী ও পাকস্থলী নিয়ে অগ্রপরিপাকনালী গঠিত। মস্তক খণ্ডের নিচের দিকে মুখের অবস্থান। এর অগ্রভাগে উর্ধ্বোষ্ঠ বা লেব্রাম এবং পশ্চাৎ দিকে নিম্নোষ্ঠ বা লেবিয়াম অবস্থিত। এছাড়া ম্যান্ডিবলের দুই পাশে দুইটি ইনসিসর প্রসেস থাকে। নিয়োষ্ঠের উভয় পার্শ্বে দুইটি প্রশস্ত অংশ থাকে যা প্যারাগনাথা (paragnatha) নামে পরিচিত।
চিত্র-১.১১: গলদা চিংড়ির পরিপাকতন্ত্র
মুখ গহ্বর (Buccal cavity): মুখের পিছনেই মুখ গহ্বর অবস্থিত। মুখ গহ্বরের দুই পাশে ম্যান্ডিবলে মোলার প্রসেসর থাকে, এর সাহায্যে খাদ্যবস্তু মুখ গহ্বরে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়।
অন্ননালী (Oesophagus): এটা পেশিযুক্ত মোটা নালীবিশেষ যা মুখ গহ্বরের পিছনে থেকে শুরু হয়ে পাকস্থলীতে প্রবেশ করেছে। এই প্রবেশ পথে কপাটিকা থাকে। এর ফলে খাদ্যবস্তু একবার পাকস্থলীতে প্রবেশ করলে তা আর অন্ননালীতে ফিরে আসতে পারে না।
পাকস্থলী (Stomach): পরিপাকনালীর মধ্যে সবচেয়ে বড় আকারের থলিটির নাম পাকস্থলী। পাকস্থলী চিংড়ির শিরোবক্ষের বেশির ভাগ স্থান দখল করে থাকে। পাকস্থলী প্রধানত দুই ভাগে বিভক্ত। যথা-
i) কার্ডিয়াক পাকস্থলী ও
ii) পাইলোরিক পাকস্থলী
খ) মধ্য পরিপাকনালী (Mid gut): পাইলোরিক পাকস্থলীর পরবর্তী ভাগ থেকে মধ্য পরিপাকনালী শুরু। এই নালীটি লম্বা, সরু, সোজা ও নলাকৃতির এবং দেহের মাঝামাঝি স্থান বরাবর পিছনের দিকে ষষ্ঠ উদর খন্ডক পর্যন্ত বিস্তৃত। মধ্য পরিপাকনালীর ভেতরের দেয়াল এপিথেলিয়াম স্তর দ্বারা আবৃত এবং পিছনের অংশ লম্বালম্বি অসংখ্য ভাঁজ দ্বারা সজ্জিত থাকে।
গ) পশ্চাৎ পরিপাকনালী ( Hind gut): মধ্য পরিপাকনালীর পরবর্তী অংশকে পশ্চাৎ পরিপাকনালী বলে এবং এই নালী পায়ু পর্যন্ত বিস্তৃত। পরিপাকনালীর এই অংশ স্ফীত হয়ে পুরু মাংসপেশী দ্বারা গঠিত ছোট থলিতে পরিণত হয়েছে। এই থলিকে মলাশয় বা রেকটাম (Rectum) বলে। এই মলাশয় সর্বশেষ উদর উপাঙ্গ দুটির মাঝ বরাবর একটি ছিদ্র পথে উন্মুক্ত হয়। এই পথকে পায়ুপথ (Anus) বলে। পায়ুপথে মল দেহের বাইরে নিক্ষিপ্ত হয়।
যকৃত অগ্ন্যাশয় গ্রন্থি (Hepatopancreas)
শিরোবক্ষের গহ্বরে কমলা রং এর এক প্রকার অঙ্গ দেখা যায়, একে যকৃত অগ্ন্যাশয় বলে। এই অঙ্গটি কার্ডিয়াক পাকস্থলীর শেষ অংশ, পার্শ্বদেশ, পাইলোরিক পাকস্থলী ও মধ্য অন্ননালীর কিছু অংশকে ঢেকে রাখে। হেপাটোপ্যানক্রিয়াস প্রধানত পাচক রস নিঃসরণ, খাদ্যরস শোষন এবং গ্লাইকোজেন ও ফ্যাট প্রভৃতি সঞ্চয় করে রাখে। এই গ্রন্থি যকৃত ও অগ্ন্যাশয় উভয়ের কাজ করে বলে একে হেপাটোপ্যানক্রিয়াস বা যকৃত - অগ্ন্যাশয় গ্রন্থি বলে।
চিংড়ি সাধারণত প্রথম ও দ্বিতীয় চলনপদের সাহায্যে খাদ্য ধরে এবং মুখছিদ্রের সম্মুখে নিয়ে আসে। এই ক্রিয়ায় তৃতীয় ম্যাক্সিলিপেড সাহায্য করে থাকে। চিংড়ি ম্যান্ডিবলের সাহায্যে খাদ্যবস্তু টুকরা টুকরা করে এবং পরে মোলার প্রসেস দ্বারা খাদ্যবস্তু চূর্ণ-বিচূর্ণ করে অন্ননালী ও কার্ডিয়াক পাকস্থলীতে প্রবেশ করে।
অন্ননালী ও কার্ডিয়াক পাকস্থলী পেশীর সংকোচন ও প্রসারণের ফলে খাদ্য কার্ডিয়াক পাকস্থলীতে আসে। অতঃপর চূর্ণ-বিচূর্ণ খাদ্য কণাগুলো কার্ডিয়াক পাকস্থলী থেকে পাইলোরিক পাকস্থলীতে প্রবেশ করে। হেপাটোপ্যানক্রিয়াস গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত পাচকরস যকৃত অগ্ন্যাশয় নালী দিয়ে পাইলোরিক পাকস্থলীতে প্রবেশ করে সেখানে খাদ্যের সাথে মিশ্রিত হয়।
পাইলোরিক পাকস্থলীর ফিল্টার প্লেটের সাহায্যে পরিশ্রুত তরল খাদ্য যকৃত-অগ্ন্যাশয় নালীর ছিদ্রপথ দিয়ে স্বকৃত-অগ্ন্যাশয়ে প্রবেশ করে এবং এখানে খাদ্য শোষিত হয়। যকৃত- অগ্ন্যাশয় গ্রন্থি হজম এবং খাদ্যের সার অংশ শোষণের কাজ করে থাকে। পাইলোরিক পাকস্থলীর অবশিষ্ট খাদ্যরস ও কঠিন অপাচ্য খাদ্য মধ্য অন্ননালীতে প্রবেশ করে। মধ্য অন্ননালীতে অস্ত্রের তরল খাদ্যের মূলরস শোষিত হয় এবং খাদ্যের অপাচ্য অংশ মলরূপে সাময়িকভাবে মলাশয়ে জমা থাকে এবং পরে পায়ুপথ দিয়ে দেহের বাইরে নিক্ষিপ্ত হয়।
আরও দেখুন...